রাজ‍্য জুড়ে লকডাউন , স্তব্ধ জনজীবন বর্ধমান শহরে : কড়া ভূমিকায় পুলিশ

20th August 2020 1:03 pm বর্ধমান
রাজ‍্য জুড়ে লকডাউন , স্তব্ধ জনজীবন বর্ধমান শহরে : কড়া ভূমিকায় পুলিশ


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : রাজ্যের লকডাউন এ আজ বর্ধমান শহরের বেশিরভাগ এলাকা স্তব্ধ। কিন্তু শহরের তেঁঁতুলতলা বাজার সহ কিছু এলাকায় ইতিউতি কিছু বাজার ও দোকানপাট খুলেছে। পুলিশ গিয়ে সেগুলি বন্ধ করে দেয়।  সকাল থেকে বাকি গোটা শহরে গত কয়েকমাসের চেনা ছবি।রাস্তাঘাট শুননান। যানবাহন তেমন নেই। কিছু টোটো চললেও পুলিশ দেখতে পেলেই সেগুলিকে আটকেছে। অন্যদিকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ আর সিভিক ভলেন্টিয়াররা। কার্জন গেট; বীরহাটা ; গোলাপবাগ মোড় সহ সর্বত্র পুলিশ রয়েছে। যারাই অকারণে বাইরে বেরিয়েছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তেঁঁতুলতলা বাজারে যারা মাছ বা সব্জি নিয়ে বসেছে তারা জানিয়েছে বারবার তারিখ পাল্টানোও তারা ঠিক জানতেন না। যাই হোক বাধা পেয়ে তারা দোকান গুটিয়ে নেয়। আনলক ওয়ান পর্বে বর্ধমান শহরে বাজারে লাগামছাড়া ভিড় দেখা যায়। বাজারবিলাসী আর আড্ডাবাজরা রাস্তায় দোকানে ভিড় করেন। জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে শহরে সংক্রমণের হার গোটা জেলায় শীর্ষ স্থান দখল করে। গতকালই জেলাশাসক জানিয়েছিলেন বর্ধমান আর কাটোয়া পুরসভার পরিসংখ্যান প্রশাসনের চিন্তার কারণ। এই অবস্থায় আজ লকডাউন সফল করতে বর্ধমান শহরে তৎপর ছিল প্রশাসন। একসময়ে সেফ জোনে ছিল প্রায় গোটা পূর্ব বর্ধমানের বেশিরভাগ অঞ্চল। এখন ২১৫ টির মধ্যে মাত্র ৩৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় সংক্রমণের খবর নেই। বাকি জেলার কোভিড আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা রোজ বাড়ছে। সুস্থতার হার ভাল  আর ৮৪ শতাংশ রোগীই উপসর্গহীন। তবুও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।